সাধারণ পরিষদে
ভোট, পক্ষে, বিপক্ষে, ভোট দানে বিরত কিংবা অনুপস্থিত দেশসমূহ এবং বাংলাদেশের অবস্থান
জাতিসংঘের সাধারণ
পরিষদের ৬১তম অধিবেশনে পক্ষে ১৪৩ ভোট, বিপক্ষে ৪ ভোট ও অনুপস্থিত ১১ ভোটে আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর
অধিকার বিষয়ক এই ঘোষণাপত্র চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়। নিম্নে সদস্য রাস্ট্রগুলোর অবস্থান
তুলে ধরা হলো-
পক্ষে ভোটঃ
আফগানিস্তান, আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, আনদোরা, এঙ্গোলা, এ্যানটিগুয়া ও বারমুদা, আর্জেনটিনা,
আরমেনিয়া, অস্ট্রিয়া, বাহামাস, বাহরাইন, বার্বাদোস, বেলারুশ, বেলজিয়াম, বেলাইস, বেনিন,
বলিভিয়া, বসনিয় ও হারজেগোবিনা, বটসোয়ানা, ব্রাজিল, ব্রুনেই দারুসসালাম, বুলগেরিয়া,
বুরকিনা, ফাসো, কম্বেডিয়া, ক্যামেরুন, কেপ ভার্দে, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, গণপ্রজাতন্ত্রী
কঙ্গো, ডেনমার্ক, যিবুটি, ডোমিনিকা, ডোমিনিকান রিপাবলিক, ইকুয়েডর, মিশর, এল সালভাদর,
এসটোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, গাবোন, জার্মানী, ঘানা, গ্রীস, গুয়েতামালা, গিনি, গায়েনা,
হাইতি, হুন্ডোরাস, হাঙ্গেরী, আইসল্যান্ড, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, আয়ারল্যান্ড,
ইতালী, জ্যামাইকা, জাপান, জর্দান, কাজাকস্তান, কুয়েত, লাওস, লাটভিয়া, লেবানন, লেসোথো,
লাইবেরিয়া, লিবিয়া, লাইষ্টেনটেইন, লিথুনিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাদাগাস্কার, মালাবি, মালয়েশিয়া,
মালদ্বীপ, মালি, মালটা, মোরিসাস, মেক্সিকো, মাইক্রোনেশিয়া, মালদোভা, মোনাকো, মঙ্গোলীয়া,
মোজাম্বিক, মায়ানমার, নামিবিয়া, নেপাল, নেদারল্যান্ডস, নিকারাগুয়া, নিগার, নরওয়ে, ওমান,
পাকিস্তা, পানামা, প্যারাগুয়ে, পেরু, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, কাতার, প্রজাতন্ত্রী
কোরিয়া, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট, ও গ্রানাদাইসন, সান মারিনো, সৌদি আরব, সেনেগাল,
সার্বিয়া, সিয়েরালিওন, সিঙ্গাপুর, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্পেন,
শ্রীলংকা, সুদান, সুরিনাম, সোয়াজিল্যান্ড, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, সিরিয়া, থাইল্যান্ড,
যুগোস্লাভিয়া, তিমুর-লিসতে, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, তিউনিশিয়া, তুর্কি, সংযুক্ত আরব আমিরাত,
যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত তানজানিয়া, উরুগুয়ে, ভেনিজুয়েলা, ভিয়েতনাম, ইয়েমেন, জাম্বিয়া ও
জিম্বাবুয়ে।
বিপক্ষে ভোটঃ
অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ভোট দানে বিরতঃ
আজারবাইজান, বাংলাদেশ, ভূটান, বুরুন্ডি, কলম্বিয়া, জর্জিয়া, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, রাশিয়া,
সামোয়া, ও ইউক্রেন।
অনুপস্থিতঃ
চাদ, কোটে ডি’আইলোরে, ইকোটোয়াল গিনি, ইরিট্রিয়া, ইথিওপিয়া, ফিজি, গাম্বিয়া, গ্রানাডা,
গিনি-বিসাউ, ইসরাইল, কিরিবাতি, কিরগিস্তান, মারশাল আইল্যান্ড, মৌরিতানিয়া, মন্টিনেগ্রো,
মরক্কো, নৌরু, পালাউ, পাপুয়া নিউ গিনি, রোমানিয়া, রোয়ান্ডা, সেন্ট কিটস ও নেভিস, সাও
টোমে ও ট্রিনসিপে, সিসিলিজ, সোলোমোন আইল্যান্ড, সোমালিয়া, তাজিকিস্তান, টোকো, টঙ্গো,
তুর্কিমেনিস্তান, তুভালু, উগান্ডা, উজবেকিস্তান, ও ভানুতু।
পরবর্তীতে মন্টিনিগ্রো
এবং অস্ট্রেলিয়া সমর্থন ভোট প্রদান করে। এর ফলে পক্ষে ভোট দাঁড়ায় ১৪৫টি।
বাংলাদেশের অবস্থান ও কারণ ব্যাখ্যাঃ আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর
অধিকার বিষয়ক ঘোষণাপত্রের উপর ভোট গ্রহণের সময় বাংলাদেশ ভোট দানে বিরত থাকে। অনুমোদনের
পর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের প্রতিনিধি ইশরাত জাহান আহমেদ বলেন যে, তাঁর মিশন
যে কোন অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর অধিকারের প্রতি সমর্থন করে। বাংলাদেশ প্রধান প্রধান সকল
মানবাধিকার চুক্তির প্রতি অনুগত রয়েছে এবং আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর অধিকার সমর্থন করে।
কিন্তু এই ঘোষণাপত্রে কিছু অস্পষ্টতা রয়েছে, বিশেষ করে ‘আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী’ সংজ্ঞা
নির্ধারিত হয়িনি বা সুস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত হয়নি। অধিকন্তু ঘোষণাপত্রের উপর সকল সদস্য-রাষ্ট্রের
মধ্যে সর্বসম্মত সমর্থন নেই। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ ভোট দানে বিরত থাকে বলে তিনি জানান।