ভ্যালেন্টাইন ডে ও আমরা
-সন্তোষ ডি. কারগিল
-সন্তোষ ডি. কারগিল
অতি সম্প্রতি আমাদের দেশীয় সমাজে খুব ঘটা করে ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালবাসা দিবস পালন করার উৎসাহ এবং উদ্দীপনা খুব যত্ন সহকারে লক্ষ করছি। আসুন আমরা ভ্যালেন্টাইন ডে সম্পর্কে ইতিহাসে কি আছে সেটা একটু ঘুরে আসি।
The new Encyclopedia Britannica এবং Encyclopedia Americana সহ আরো অনেক গ্রন্থে জানা যায়- রোমান এক খ্রিস্টান পাদ্রী নাম সেন্ট ভ্যালেন্টাইন, চিকিৎসা বিদ্যায় ছিল অভিজ্ঞ। খ্রিষ্ট ধর্ম প্রচারের অভিযোগে ২৭০ খ্রিষ্টাব্দে রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াসে আদেশে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। সে যখন বন্দী ছিল তখন তরুন-তরুনীরা তাকে ভালোবাসা জানিয়ে জেলখানার জানালা দিয়ে চিঠি ছুড়ে দিত। বন্দী অবস্থাতেই সেন্ট ভ্যালেন্টাইন জেলারের অন্ধ মেয়ের চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়ার চিকিৎসা করে। এসময় মেয়েটির সাথে তার হৃদয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মৃত্যুর আগে মেয়েটিকে লেখা এক চিঠিতে সে লিখে- " from your Valentine"। অনেকের মতে, সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নাম অনুসারেই পোপ প্রথম জুলিয়াস ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে "সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে" হিসেবে ঘোষণা দেয়।
আরো একজন ভ্যালেন্টাইনের নাম পাওয়া যায় ইতিহাসে। রোমান সম্রাট ক্লাডিয়াস যুদ্ধের জন্য ভালো সৈন্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে যুবকদের বিয়ে করতে নিষেধ করে। কিন্তু সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নিয়ম ভঙ্গ করে প্রেম করে, পরে আইন ভেঙ্গে বিয়ে করে। ফলে তাদের মৃত্যুদন্ড হয়।
মূলত এরও বহু আগে থেকে রোমানদের দুটি প্রথা বা অনুষ্ঠান চালু ছিলো। ১. প্রেম এবং বিয়ে।
২. পুরুষের পুরুষত্ব ও মেয়েদের মেয়েলীত্ব ক্ষমতা বিষয়ে উৎসব।
লুপারকালিয়া এসব উৎসবের অন্যতম। এই অনুষ্ঠান হতো ১৫ ই ফেব্রুয়ারি। এর আগের দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি তরুন-তরুনীরা লটারীর মাধ্যমে নাচের পার্টনার নির্বাচন করতো। ৪০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে দুই দিনের পরিবর্তে একদিন ১৪ ই ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। অনেকে মনে করতো, ১৪ ফেব্রুয়ারি পাখিরা তাদের সঙ্গী বেছে নেয়। এদিনটা পালনের ক্ষেত্রে রোমানরা লটারী করে তাদের পছন্দনীয় পুরুষ এবং মহিলা নির্বাচন করতো। ১৭০০ সালের দিকে ইংরেজ রমনীরা কাগজে তাদের পরিচিত পুরুষদের নাম লিখে পানিতে ছুড়ে মারত কাদামাটি মিশিয়ে। যার নাম প্রথমে ভেসে উঠতো সেই হতো প্রকৃত প্রেমিক।
ষোড়শ শতাব্দীর থেকে কাগজের কার্ড বিনিময় শুরু হয়। ১৮০০ সাল থেকে তামার প্লেটে একই ডিজাইনের অনেক কার্ড ছাপা হয়। এভাবেই এ তথাকথিত ভালোবাসা দিবস ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে।
১৯৯৩ সালে যায়যায়দিন-এর মাধ্যমে শফিক রেহমানের হাত ধরে ভ্যালেন্টাইন ডে এর আগমন বলে অনুমান করা যায় । তবে এ দিবসটির আনুষ্ঠানিক ব্যাপ্তি লাভ করে প্রায় অর্ধদশক এর মধ্যে।
The new Encyclopedia Britannica এবং Encyclopedia Americana সহ আরো অনেক গ্রন্থে জানা যায়- রোমান এক খ্রিস্টান পাদ্রী নাম সেন্ট ভ্যালেন্টাইন, চিকিৎসা বিদ্যায় ছিল অভিজ্ঞ। খ্রিষ্ট ধর্ম প্রচারের অভিযোগে ২৭০ খ্রিষ্টাব্দে রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াসে আদেশে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। সে যখন বন্দী ছিল তখন তরুন-তরুনীরা তাকে ভালোবাসা জানিয়ে জেলখানার জানালা দিয়ে চিঠি ছুড়ে দিত। বন্দী অবস্থাতেই সেন্ট ভ্যালেন্টাইন জেলারের অন্ধ মেয়ের চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়ার চিকিৎসা করে। এসময় মেয়েটির সাথে তার হৃদয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মৃত্যুর আগে মেয়েটিকে লেখা এক চিঠিতে সে লিখে- " from your Valentine"। অনেকের মতে, সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নাম অনুসারেই পোপ প্রথম জুলিয়াস ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে "সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে" হিসেবে ঘোষণা দেয়।
আরো একজন ভ্যালেন্টাইনের নাম পাওয়া যায় ইতিহাসে। রোমান সম্রাট ক্লাডিয়াস যুদ্ধের জন্য ভালো সৈন্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে যুবকদের বিয়ে করতে নিষেধ করে। কিন্তু সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নিয়ম ভঙ্গ করে প্রেম করে, পরে আইন ভেঙ্গে বিয়ে করে। ফলে তাদের মৃত্যুদন্ড হয়।
মূলত এরও বহু আগে থেকে রোমানদের দুটি প্রথা বা অনুষ্ঠান চালু ছিলো। ১. প্রেম এবং বিয়ে।
২. পুরুষের পুরুষত্ব ও মেয়েদের মেয়েলীত্ব ক্ষমতা বিষয়ে উৎসব।
লুপারকালিয়া এসব উৎসবের অন্যতম। এই অনুষ্ঠান হতো ১৫ ই ফেব্রুয়ারি। এর আগের দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি তরুন-তরুনীরা লটারীর মাধ্যমে নাচের পার্টনার নির্বাচন করতো। ৪০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে দুই দিনের পরিবর্তে একদিন ১৪ ই ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। অনেকে মনে করতো, ১৪ ফেব্রুয়ারি পাখিরা তাদের সঙ্গী বেছে নেয়। এদিনটা পালনের ক্ষেত্রে রোমানরা লটারী করে তাদের পছন্দনীয় পুরুষ এবং মহিলা নির্বাচন করতো। ১৭০০ সালের দিকে ইংরেজ রমনীরা কাগজে তাদের পরিচিত পুরুষদের নাম লিখে পানিতে ছুড়ে মারত কাদামাটি মিশিয়ে। যার নাম প্রথমে ভেসে উঠতো সেই হতো প্রকৃত প্রেমিক।
ষোড়শ শতাব্দীর থেকে কাগজের কার্ড বিনিময় শুরু হয়। ১৮০০ সাল থেকে তামার প্লেটে একই ডিজাইনের অনেক কার্ড ছাপা হয়। এভাবেই এ তথাকথিত ভালোবাসা দিবস ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে।
১৯৯৩ সালে যায়যায়দিন-এর মাধ্যমে শফিক রেহমানের হাত ধরে ভ্যালেন্টাইন ডে এর আগমন বলে অনুমান করা যায় । তবে এ দিবসটির আনুষ্ঠানিক ব্যাপ্তি লাভ করে প্রায় অর্ধদশক এর মধ্যে।
No comments:
Post a Comment