Saturday, August 06, 2022

আদিবাসী, ভূমি ও জীবন

আদিবাসীদের কাছে ভূমিই জীবন, ভূমিই অস্তিত্ব। আদিবাসীদের ভূমি অধিকার কিছু বলার আগে, সম্পদ, ভূমি, বন, প্রাণী জগত, ধরিত্রী ও অধিকার সম্পর্কে আদিবাসী মানুষের বৈশিক দৃষ্টিভঙ্গি কেমন, সে বিষয়টি ভেবে দেখা অতি গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্বজুড়ে ভূমির সঙ্গে আদিবাসীদের সম্পর্ক যে শুধু অর্থনৈতিক বা সাংস্কৃতিক নয়, ভূমির সঙ্গে আদিবাসীদের যে আধ্যাত্মিক সম্পর্ক রয়েছে, তা আদিবাসী এক প্রবীণ নেতার বক্তব্যে ফুটে উঠেছে যে বক্তব্য জাতিসংঘ ব্যবহার করেছে। জাতিসংঘ আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরাম Indigenous Peoples, Indigenous Voices শিরোনামের বইটি ২০০৩ সালের মে মাসে প্রকাশ করেছে United Nations Department of Public Information - DPI / 2309,  বইয়ে লেখা আছে,
Land is the generation point of existence,,,
It is a living place
Made up of sky, clouds, rivers, trees, the wind, the sand,
and the spirit there - it is my own country ..
It is a living entity.
It belongs to me.
I belong to the land,
I rest in it,
I come from here.

-Bill Nedji, Elder
Northern Territory, Australia

অস্ট্রেলিয়ার  নর্দান টেরিটরির প্রবীণ এই নেতার বক্তব্য বাংলায় রূপান্তর করলে এরকম হতে পারে, “ভূমিই আদিবাসীদের অস্তিত্বের কেন্দ্রবিন্দু। ভূমি আমাদের ঠিকানা। ভূমি জীবনের প্রতীক। এই ভূমি আমাদের, আমরাও ভূমির। ভূমিতে আমরা বিশ্রাম নিই। আমরা ভূমি থেকে আসি, আবার ভূমিতে ফিরে যাই।”
বিশ্বজুড়ে ভূমি আদিবাসীদের কাছে পবিত্র। আদিবাসী সংস্কৃতিতে ভূমি হলো জননী। ধরিত্রীও জননী। আদিবাসীরা প্রকৃতিকে অনুভব করতে পারে। তারা বনকে কোনোদিন বেচাকেনার বিষয় হিসেবে দেখে না, জীবনের অংশ হিসেবে দেখে। আর আধুনিক সভ্যতা বন, সম্পদ, প্রকৃতি সবকিছু বাণিজ্যিক দৃষ্টিতে দেখে। এখানেই আদিবাসীদের সঙ্গে বর্তমান উন্নয়ন ধারার সমস্যা।

একসময় আদিবাসী জীবনে সবকিছু অলিখিত। মুখে  মুখে চলে আসা ওরাল সংস্কৃতি। আইনকানুন ছিল মুখে মুখে, প্রথাগত ও ট্রাডিশনাল। তাদের লিটারেচারও ছিল ওরাল। আদিকালে জীবন ছিল যূথবদ্ধ। তখন বন ও ভূমির উপর ছিল মানুষের ঐতিহ্যগত স্বত:সিদ্ধ অধিকার। প্রথাগত সব অধিকার। তখন জনসংখ্যা কম ছিল। অবারিত ছিল বন ও ভূমিতে মানুষের বিচরণ। আদিবাসী জীবনের সাথে মূলস্রোতের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনায় ম্যাগসেসে পুরষ্কারপ্রাপ্ত প্রখ্যাত লেখক মহাশ্বেতা দেবী তার টেরোড্যাকটিল, পূরণ সহায় ও পিরথা উপন্যাসে আদিবাসীদের কথা এভাবে লিখেছেন, “শোষণ” শব্দ তো হো ভাষায় নেই। যাদের জীবনে শুধুই শোষণ, শুধু বঞ্চনা, সেই আদিবাসীদের কোনো ভাষাতেই কি আছে ”শোষণ” শব্দের সমার্থক শব্দ? .... এক সময় বন ছিল, পাহাড় ছিল, নদী ছিল, আমরা ছিলাম। আমাদের গ্রাম ছিল, ঘর ছিল, জমি ছিল, আমরা ছিলাম।
এ কথাগুলোর মধ্যে আদিবাসীদের দুঃখ কষ্ট আনন্দ বেদনা স্বপ্ন উন্নয়ন ও এগিয়ে যাওয়া সব জড়িয়ে আছে। ভারতবর্ষ শুধু নয়, বিশ্বের ৯০টি দেশের ৪০ কোটি আদিবাসী মানুষের জন্য এই কথাটি প্রযোজ্য। জাতিসংঘ আদিবাসদের এই ধরনের ঐতিহাসিক শোষণ ও বঞ্চনার কারণেই ২০০০ সালে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের অধীনে আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরাম গঠণ করেছে এবং জাতিসংঘ স্বীকার করেছে বিশ্বব্যাপী ঐতিহাসিকভাবে আদিবাসী জনগণ নানামুখী শোষণ ও বৈষম্যের কারণে তাদের আত্ম-পরিচয়, ভাষা, সংস্কৃতি ও মৌলিক মানবাধিকার হারাতে বসেছে।

তাই আদিবাসী অধিকার বুঝতে হলে ওদের মনস্তত্ত্বকে, বৈশ্বিক ও জীবন ভাবনার বিশ্বজনীনতাকে বুঝতে হবে। বুঝতে হবে ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে, গায়ের জোরে, ক্ষমতা ও শক্তির দাপটে নয়। ওদের জীবনে বহিরাগতরা প্রবল রাষ্ট্রীয় শক্তি নিয়ে ঢুকে গেছে আর সঙ্গে সঙ্গে ঝড়ের মতো চলে গেছে সব জমি, বন, পাহাড়, প্রাকৃতিক সম্পদ। ওরা এখন অধিকারহীন অসহায় মানুষ। অতি সংবেদনশীল, বিনম্র শ্রদ্ধা, প্রচন্ড ভালোবাসা ছাড়া আদিবাসাীদের উন্নয়ন ও রক্ষা করা সম্ভব নয়। রাজনীতি, সমাজনীতি, সংস্কৃতি, অর্থনীতি সবখানে আদিবাসী মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও আন্তরিকতার প্রতিফলন দরকার। এই প্রান্তিক অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দরকার সমন্বিত উন্নয়ন উদ্যোগ। দেশে আদিবাসী অধিকার রক্ষার জন্য আইন ও নীতিমালা থাকা দরকার।
১৯৬০ সালে এপ্রিল মাসে ভারতীয় সংবিধান মতে, শিডিউলড এরিয়াজ শিডিউলড ট্রাইবস কমিশন গঠিত হয়। ওই রিপোর্টের শিরোনাম ছিল, “The Fundamentals on An Approach to the Tribes" যার মূল বক্তব্য ছিল “ট্রাইবাল টাচ” বা ”আদিবাসীদের প্রতি পক্ষপাত”। এর অর্থ হলো, আদিবাসীদের চোখ দিয়ে, ওদের দৃষ্টিভঙ্গিতে সব কিছু দেখার চেষ্টা করা। তারপর থেকে আদিবাসী অঞ্চল বা ব্লকগুলোতে অর্থ বরাদ্দ গেল। এই কমিটির এক সদস্য পরবর্তীতে লিখেন, প্রতিটি মানব তার ভাইয়ের দায়িত্ব বহন করবে আদিবাসীদের বিষয়ে। আমাদের দীর্ঘ অবহেলা, আমাদের ভূল দৃষ্টিভঙ্গি - এর প্রায়শ্চিত্ত আমাদের সকলকে করতেই হবে। জগতে একটি মানবজাতি, এবং আদিবাসীরা সে জাতির অতীব অমূল্য এক অঙ্গ।
আদিবাসী জীবন অফুরন্ত প্রাণশক্তিতে পরিপূর্ণ। এই সমাজে নারী-পুরুষ উভয়ে শ্রমজীবি খেটে খাওয়া মানুষ। তারা আজো তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে চায় ্এবং সফল পরিবর্তনের দিকে এগুতে চায়। আদিবাসী সংস্কৃতি যাতে ধ্বংস না হয়, তার পদক্ষেপ রাষ্ট্রকে নিতে হবে। আদিবাসী বান্ধব একটি জাতীয় পলিসি দরকার। আজ থেকে অর্ধশত বছর আগে ভারতে আদিবাসী কমিশন হয়েছিল ১৯৬০ সালে। তখন মুক্ত ভারতের বয়স মাত্র ১২/১৩ বছর। আর আমরা প্রায় ৫০ বছর অতিক্রান্ত করছি স্বাধীনতার। আমরা কত পিছিয়ে আছি। আদিবাসী বিষয়ে একটি কমিশন হোক, তারা রিপোর্ট করুক, দেশের ৩০ লক্ষ আদিবাসীদের মানবিক মর্যাদা ও উন্নয়নের জন্য। অসীম নম্রতা ও হৃদয়ভরা আন্তরিকতায় লেখা হবে সে রিপোর্ট, এইরকম স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছা করে।

মহাশ্বেতা দেবী লিখেছেন, ভারতের সংবিধানে লেখা আছে, “এই সকল ট্রাইব ও আদিবাসীর সংখ্যা ত্রিশ মিলিয়ন। .....They should be made to enjoy the privileges of citizenship and should be able to take part in the making and strengthening the democratic institutions in the country. They should enjoy the fruits of liberty, equality and fraternity.  কার্যকালে দশকের পর দশক ধরে শব্দগুলি সংবিধানের শোভা হয়ে থাকে এবং আদিবাসীদের দুঃখ চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ে। ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার দপ্তর থেকে হতাশা নিয়ে ফিরে এসে আদিবাসীরা স্টেশনে উবু হয়ে বসে থাকে, ট্রেন ধরে, সাঁইত্রিশ লক্ষ মাইল হেঁটে গ্রামে ফেরে এবং অপরিচিত, হিংস্র আলোকজ্জ্বল নয়া ভারত থেকে স্বীয় পরিবেশের অপরিমেয় অন্ধকারে ফিরে স্বস্তি পায়। সে কারণেই ওরা বাইরের সব কিছুকে অবিশ্বাস করে। কিন্তু আদিবাসী অরণ্য জীবনে বহিরাগতের Encroachment  অনিবার্য। ওরা জানে, দিকু, মহাজন, জোতদার, নকশালি বা জেপি পন্থি সন্ধানী পুলিশ ওদের জীবনে ঢুকবে, ঢুকে গেছে। ওরা বিশ্বাস করতে পারে তাকেই, যে দারিদ্র্যে ও শোষণে ওদের সমগোত্রীয়। - মহাশ্বেতা দেবী গল্প, জগমোহনের মৃত্যু।
তাই রাষ্ট্রকে বুঝতে হবে শুধু আইন দিয়ে, সংবিধানের কথা বলে আদিবাসীদের এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। ওদের আলাদা জগত ও বৈচিত্র্যকে সম্মান ও স্বীকৃতি দিতে হবে। আদিবাসীদের প্রথাগত অধিকারের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি থাকতে হবে। আদিবাসীদের  উন্নয়নের জন্য মানবাধিকারকে অগ্রধিকার দিতে হবে।আদিবাসীদের মনে যেন এই ধারনা না জন্মায়, ওরা অন্যের দ্বারা শাসিত হচ্ছে, শাসকগোষ্ঠী ওদের শাসন করছে। এই কাজটি করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের এবং মূল দায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজের। সবকিছুর জন্য দরকার আদিবাসীদের সঙ্গে অর্থপূর্ণ আলাপ আলোচনা ও ইতিবাচক মর্যাদাপূর্ণ সংলাপ। আদিবাসীদের আস্থায় এনে এ কাজটি করতে হবে। আদিবাসীদেরকেও সহযোগীতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। ভেরিয়ার এলুইন তার আদিবাসী জগত বইয়ে লিখেছেন, “পাহাড় ও সমতলের ঐক্য জাতীয় স্বার্থেও যেমন প্রয়োজন, তেমন প্রয়োজন পাহাড় ও অরণ্যের মানুষদের স্বার্থে। আমরা পরস্পরকে সমৃদ্ধ ও সম্ভাবনাময় করতে পারি। আদিবাসীদের আমরা অনেক কিছু দিতে পারি, আবার ওদেরও অনেক কিছু আছে, যা আমাদের দেবার মতো।”

সমতলের আদিবাসীরা কী কী কারণে ভূমি হারায়
দেশভাগের কারণে (১৯৪৭) হিন্দুদের কী অবস্থা হয়েছে, এ নিয়ে যথেষ্ট লেখালেখি ও গবেষণা হয়েছে। কিন্তু আদিবাসীদের জীবনে দেশভাগের ফলে কী ভয়াবহ পরিণতি হয়েছিল, এ নিয়ে খুব একটা কাজ হয় নি। মূলত: ১৯৪৭ ছিল আদিবাসী জীবনেও বড় টার্নিং পয়েন্ট। পরবর্তীতে ১৯৬৪ সালের হামলা ও আক্রমণ (রায়ট নয়)। হামলা হয়েছিল একপক্ষ, অন্যপক্ষ আদিবাসীরা শুধু পলায়ন করেছে, দেশান্তরিত হয়েছে। (দেুখুন: রেভা: ই গেডার্টের বই গারো অঞ্চলে ক্যাথলিক মিশনারীগণ)। আর ১৯৬৫ সালের মাত্র ১৭ দিনব্যাপী পাক-ভারত ‍যুদ্ধের ফলে আদিবাসীদের অনেক জমি শত্রু সম্পত্তি হয়ে গেছে।

  • পপুলেশন ট্রান্সফার বার বার বাধ্যতামূলক দেশান্তকরণ প্রক্রিয়া, ১৯৪৭ সালের পর থেকে গারো, হাজং, কোচ, ডালু, হদি, বানাই প্রভৃতি আদিবাসীদের কয়েকদফা প্রাণরক্ষার জন্য জন্মভূমি ছাড়তে হয়। ১৯৬৪ সালে পাক সরকার সাম্প্রদায়িক আক্রমণ চালায়। তখন আদিবাসীরা দেশত্যাগে বাধ্য হয়। তাদের ফেলে যাওয়া জমিতে সরকার অআদিবাসীদের পুনর্বাসিত করে। যারা ফিরে আসে, পরবর্তীতে তাদের মধ্যেও অনেকে জমি ফেরত পায়নি। ১৯৭১ সালেও আদিবাসীদের সবকিছু  ত্যাগ করে দেশান্তরিত হতে হয়। গারো অঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় ১৯৭৫ সালেও গারোদের অনেকে দেশান্তর হয়। বার বার দেশান্তরের ফলে তাদের অর্থনীতি ভেঙে পড়ে। 
  • আদিবাসীদের কোনো মতামত বা সম্মতি ছাড়াই আদিবাসীদের ভূমিতে ও এলকায় জাতীয় উদ্যান, ইকো-পার্ক নির্মান, গাজনী অবকাশ কেন্দ্র, সামাজিক বনায়ন প্রকল্প গ্রহণ।
  • আদিবাসীদের ঐতিহ্যগতভাবে অধিকৃত, ব্যবহৃত ভূমিকে আদিবাসীদের না জানিয়েই রিজার্ভ ফরেষ্ট ঘোষণা বা খাস করে দেয়া
  • উচ্ছেদ নোটিশ বা শত শত মিথ্যা মামলা দিয়ে আদিবাসীদের হয়রানি ও শেষ করে দেয়া
  • শত্রু সম্পত্তি বা অর্পিত সম্পত্তি আইন
  • ভূমিলোভী চক্রের জাল দলিল, জোরপূর্বক জমি দখল
  • জমি-জমা সংক্রান্ত আইন কানুন, খারিজ, খাজনা, কাগজপত্র তৈরী ও সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতার অভাব
  • প্রজাসত্ত্ব আইন ১৯৫০ বলবৎ থাকার পরও এর যথাযথ  বাস্তবায়ন না হওয়া এবং জেলা প্রশাসনে কোন আদিবাসী বিষয়ক অফিসার না থাকা (পূর্বে এটি ছিল)
  • সরকারি ভূমি অফিসের দুর্নীতি ও ঘুষ দিতে বাধ্য করা; ঘুষ না দিলে জমি খাস করে দেয়া
  • আইনের আশ্রয় না পাওয়া, এমনকি মামলায় জয়ী হলেও জমির দখল বুঝে না পাওয়া
  • বছরের পর বছর, এমনকি যুগের পর যুগ মামলা চালাতে গিয়ে আরও জমিজমা হারানো, নিঃস্ব ও সর্বশান্ত হওয়া

Friday, August 31, 2018

The Schwarzman Scholarship প্রোগ্রাম


The Schwarzman Scholars প্রোগ্রামের আওতায় Tsinghua University তে Professional Master’s Degree in Global Affairs প্রোগ্রামের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। রাজধানী বেইজিং এ অবস্থিত Tsinghua University ১৯১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি চীনের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি। বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১৭ তম। The Schwarzman Scholars প্রোগ্রামে স্কলার্স মনোনয়নের ক্ষেত্রে একাডেমিক পড়াশোনার ছাড়াও নেতৃত্ব, এন্ট্রাপ্রেনারিয়াল গুণাবলি, অন্যান্য কালচার সম্পর্কে ধারণা,মনোভাব ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরাও  এই প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবে। 
এ স্কলারশিপের আওতায় যা যা পাবেন-
১। টিউশন ফি   
২। থাকার খরচ
৩। একাডেমিক ইয়ারের শুরু এবং শেষে বেইজিং এ আসা যাওয়ার খরচ
৪। দেশের অভ্যন্তরে শিক্ষা সফর
৫। কোর্সের বই
৬। ল্যাপটপ
৭। স্বাস্থ্য বীমা
৮। ভাতা
 
 
আবেদনের যোগ্যতা-
১। আবেদনকারীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে যেকোনো বিষয়ে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করতে হবে।
    বিঃ দ্রঃ যাদের আন্ডারগ্র্যাড প্রোগ্রাম এখনো শেষ হয়নি, কিন্তু ১ আগস্ট, ২০১৯ এর মধ্যে শেষ হবে তারাও আবেদন করতে পারবে।
২। ১ আগস্ট, ২০১৯ এ বয়স ১৮ হতে ২৯ এর মধ্যে হতে হবে।
৩। যদি আন্ডারগ্র্যাজুয়েশনের শিক্ষার মাধ্যম ইংরেজি হয় তবে কোনো ইংরেজি ভাষা দক্ষতা প্রমাণের সার্টিফিকেটের দরকার নেই।
৪। বিবাহিতরাও আবেদন করতে পারবে।


আবেদন প্রক্রিয়া-
আবেদনকারীকে নিম্নোক্ত ডকুমেন্টসসহ আবেদন অনলাইনে জমা প্রদান করতে হবে।
১। একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
২। তিনটি ইনেক্ট্রনিক রিকমেন্ডেশন লেটার
৩। সর্বোচ্চ ১ মিনিট দৈর্ঘ্যের একটি ভিডিও (ভিডিওতে আবেদনকারী নিজের সম্পর্কে বলবে)
৪। সিভি/কারেন্ট রিজিউম
৫। ২ টি রচনা
    রচনা ১- স্টেটমেন্ট অফ পারপাস এন্ড লিডারশিপ (৭৫০ শব্দের মধ্যে)
    রচনা ২- কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স (৫০০ শব্দের মধ্যে)
 

আবেদন করবেন যেভাবে- 
অনলাইনে এখানে গিয়ে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।  সঠিকভাবে আবেদন সম্পন্ন করতে আমাদের অনলাইন সাপোর্ট নিন।  এক্ষেত্রে আমরা আপনার থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে অনলাইন আবেদন করে দিবো। অথবা আপনি যদি চান আপনি নিজে আবেদন করবেন সেক্ষেত্রে আমরা আবেদনের সময় অনলাইনে থেকে আবেদনের প্রতিটি পর্যায় চেক করে দিবো। এবং বাকি ধাপগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় গাইডলাইন দেবো। এতে করে নির্ভুল আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনি থাকতে পারবেন নিশ্চিন্ত। আমাদের সাপোর্ট ফি  ১০২০ টাকা।

https://www.schwarzmanscholars.org/admissions/application/

নাবা ছাত্রী হোষ্টেল, মগবাজার, ঢাকা

২২৩, মগবাজার, ঢাকা।

মোবাইল: ০১৭১১-৫৮৮০২৪, ০১৯৩৫-৬৯৯২১৪
সিদ্ধেশ্বরীতে আরো একটি শাখা রয়েছে।

লোকেশন
  • মগবাজার আড়ং এর পেছনে এটি অবস্থিত।

সিট ভাড়া (৩ বেলা খাওয়া সুবিধা সহ)
  • খালি থাকার ভিত্তিতে সিট ভাড়া দেওয়া হয়।
  • হোষ্টেলের মগবাজার শাখায় জনপ্রতি সিট ভাড়া ৪৩০০ টাকা এবং সিদ্ধেশ্বরী শাখায় জনপ্রতি সিট ভাড়া ৪৫০০ টাকা।
  • কমপক্ষে ৩ মাসের জন্য সিট ভাড়া নিতে হবে।
  • ৩ মাসের সিট ভাড়া অগ্রীম একসঙ্গে পরিশোধ করলে সেক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় পাওয়া যায়।
  • সিট ছাড়তে হলে কমপক্ষে ১ মাস পূর্বে হোষ্টেল সুপারকে জানাতে হবে।
  • এখানে শুধু ইউনিভার্সিটি/কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী সিট ভাড়া নিতে পারে।
  • ছাত্রীর গার্ডিয়ানের সাথে সাক্ষাতের ভিত্তিতে সিট ভাড়া দেওয়া হয়।

আভ্যন্তরীন নিরাপত্তা
  • হোষ্টেল সিকিউরিটি হোষ্টেলে অবস্থানরত ছাত্রীদের আভ্যন্তরীন নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। হোষ্টেল সংক্রান্ত বা আভ্যন্তরীন যে কোন বিষয়ে, যে কোন অভিযোগে হোষ্টেল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে হয়।

বাহ্যিক নিরাপত্তা
  • হোষ্টেলে অবস্থানরত ছাত্রীদের হোষ্টেল ছাড়া বাহিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন না।

সময়
  • হোষ্টেল থেকে যে যার নিয়ম মতো বের হতে পারবে। তবে রাত ৭.৩০ টার মধ্যে সবাইকে হোষ্টেলে ফিরতে হবে এবং উক্ত সময়ে বা পরে কেহ বাহির হতে পারবে না। তবে কোচিং এর জন্য গার্ডিয়ানের অনুমতির ভিত্তিতে ৭.৩০ টার পর ছাত্রীরা বাহির হতে পারবে।

হোষ্টেল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সচেতন অভিভাবকের দায়ত্ব পালন
  • হোষ্টেল কর্তৃপক্ষ হোষ্টেলে অবস্থানরত ছাত্রীদের সচেতন অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আত্মীয় / দেশের বাড়ী বেড়াতে যাওয়া
  • দেশের বাড়ী বা কোন আত্মীয় এর বাসায় কয়েক দিনের জন্য বেড়াতে যাওয়ার প্রয়োজনে গার্ডিয়ানের অনুমতি সাপেক্ষে হোষ্টেল সুপারকে লিখিত ভাবে দরখাস্ত করতে হবে এবং এর আদ্যপান্ত অবশ্যই জানাতে হবে।

টাকা পয়সা / গয়না রাখা
  • এখানে টাকা-পয়সা, গয়না রাখার কোন ব্যবস্থা নেই।
  • নিজ দায়িত্বে এসকল দামী জিনিষ রাখতে পারবে এবং মোবাইল ব্যবহার করতে পারবে।

টেলিভিশন
হলরুমে টেলিভিশন দেখার ব্যবস্থা রয়েছে।

কম্পিউটার
  • হোষ্টেলের কম্পিউটার সুবিধা নেই।
  • কারো যদি কম্পিউটার থাকে, সেক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবে।

মোহনা গার্লস হোষ্টেল, মোহাম্মদপুর, ঢাকা

৩১৭/সি জাকির হোসেন রোড, মো:পুর।

মোবাইল: ০১৭৫৬-১৭৪০১৫।

সিট ভাড়া (৩ বেলা খাওয়া সুবিধা সহ)
  • খালি থাকার ভিত্তিতে সিট ভাড়া দেওয়া হয়।
  • হোষ্টেলের সিঙ্গেল রুমের ভাড়া ৩৭৫০ টাকা (এক জনের জন্য)।
  • ২ জনের জন্য রুম ভাড়া জনপ্রতি ৩৫৫০ টাকা।
  • ৩ জনের জন্য রুম ভাড়া জনপ্রতি ৩২৫০ টাকা।
  • ৪ জনের জন্য রুম ভাড়া জনপ্রতি ৩০৫০ টাকা।
  • সিট ভাড়ার পূর্বে অবশ্যই ১০০০ টাকা দিয়ে ভর্তি হতে হবে।
  • সিট ছাড়তে হলে কমপক্ষে ১ মাস পূর্বে হোষ্টেল সুপারকে জানাতে হবে।

আভ্যন্তরীন নিরাপত্তা
  • হোষ্টেল কর্তৃপক্ষ হোষ্টেলে অবস্থানরত ছাত্রীদের আভ্যন্তরীন নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। হোষ্টেল সংক্রান্ত বা আভ্যন্তরীন যে কোন বিষয়ে, যে কোন অভিযোগ থাকলে হোষ্টেল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে হয়।

বাহ্যিক নিরাপত্তা
  • হোষ্টেলে অবস্থানরত ছাত্রীদের বাহিরের নিরাপত্তার দায়-দায়িত্ব হোষ্টেল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নন।

সময়
  • হোষ্টেল থেকে যে যার নিয়ম মতো বের হতে পারবে। তবে রাত ৭.৩০ টার মধ্যে সবাইকে হোষ্টেলে ফিরতে হবে এবং উক্ত সময়ে বা পরে কেহ বাহির হতে পারবে না। তবে কোচিং এর জন্য গার্ডিয়ানের লিখিত অনুমতির ভিত্তিতে রাত ৭.৩০ টার পর থেকে অনুমোদিত সময় পর্যন্ত ছাত্রীরা বাহিরে থাকতে পারবে।

হোষ্টেল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সচেতন অভিভাবকের দায়িত্ব পালন
  • হোষ্টেল কর্তৃপক্ষ হোষ্টেলে অবস্থানরত ছাত্রীদের সচেতন অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আত্মীয় / দেশের বাড়ী বেড়াতে যাওয়া
  • দেশের বাড়ী বা কোন আত্মীয় এর বাসায় কয়েক দিনের জন্য বেড়াতে যাওয়ার প্রয়োজনে গার্ডিয়ানের অনুমতি সাপেক্ষে হোষ্টেল কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে দরখাস্ত করতে হবে এবং এর আদ্যপান্ত অবশ্যই জানাতে হবে।

টাকা পয়সা / গয়না রাখা
  • এখানে টাকা-পয়সা, গয়না রাখার কোন ব্যবস্থা নেই।
  • নিজ দায়িত্বে এসকল দামী জিনিষ রাখতে পারবে এবং মোবাইল ব্যবহার করতে পারবে।

টেলিভিশন
হলরুমে টেলিভিশন দেখার ব্যবস্থা রয়েছে।

কম্পিউটার
  • হোষ্টেলের কম্পিউটার সুবিধা নেই।
  • কারো যদি কম্পিউটার থাকে, সেক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবে। সেক্ষেত্রে ১০০ টাকা হারে মাসিক দিতে হবে।

মাদার তেরেসা ছাত্রী হোস্টেল, উত্তরা, ঢাকা

ঠিকানা

বাসা: ১৬, সড়ক: ৩/বি, সেক্টর: ৯, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৭১২-১৯০০৩২।

লোকেশন
  • উত্তরা ৯ নং সেক্টরে মাসকট প্লাজার বিপরীত দিকের যে কোন গলি পথ ধরে ৩/বি সড়কে এটি অবস্থিত।
  • হোষ্টেলটি ৫ম তলা বিশিষ্ট। পুরো ভবনটি হোষ্টেল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

সিট ভাড়া (৩ বেলা খাওয়া সুবিধা সহ)
  • খালি থাকার ভিত্তিতে সিট ভাড়া দেওয়া হয়। একেকটি রুমে ৩ জন থেকে ৪ জন ছাত্রী / কর্মজীবি মহিলা থাকতে পারে।
  • সিট ভাড়া প্রতি মাসে ৪৫০০ টাকা।
  • সিট ভাড়া নিতে হলে একজন ছাত্রী বা কর্মজীবি মহিলাকে প্রথমে ২০০০ টাকা দিয়ে ভর্তি হতে হয় এবং সিট ভাড়া ৪৫০০ টাকা অগ্রীম প্রদান করতে হয়।
  • সিট ছাড়তে হলে কমপক্ষে ১ মাস পূর্বে হোষ্টেল সুপারকে জানাতে হবে।

আভ্যন্তরীন নিরাপত্তা
  • হোষ্টেল সুপার হোষ্টেলে অবস্থানরত ছাত্রী / কর্মজীবি মহিলাদের আভ্যন্তরীন নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। হোষ্টেল সংক্রান্ত বা আভ্যন্তরীন যে কোন বিষয়ে, যে কোন অভিযোগ থাকলে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে হয়।

বাহ্যিক নিরাপত্তা
  • হোষ্টেলের অবস্থানরত ছাত্রী / কর্মজীবি মহিলাদের হোষ্টেল কর্তৃপক্ষ বাহিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন না।

সময়
  • হোষ্টেল থেকে যে যার নিয়ম মতো বের হতে পারবে। তবে রাত ৯.০০ টার মধ্যে সবাইকে হোষ্টেলে ফিরতে হবে।

হোষ্টেল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সচেতন অভিভাবকের দায়ত্ব পালন
  • হোষ্টেল সুপার হোষ্টেলে অবস্থানরত ছাত্রী / কর্মজীবি মহিলাদের সচেতন অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আত্মীয় / দেশের বাড়ী বেরাতে যাওয়া
  • দেশের বাড়ী বা কোন আত্মীয় এর বাসায় কয়েক দিনের জন্য বেড়াতে যাওয়ার প্রয়োজনে হোষ্টেল সুপারকে অবশ্যই জানাতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয় তখন নির্দিষ্ট করা হয়।

টাকা পয়সা / গয়না রাখা
  • এখানে টাকা-পয়সা, গয়না রাখার কোন ব্যবস্থা নেই।

টেলিভিশন
  • হলরুমে টেলিভিশন দেখার ব্যবস্থা রয়েছে।

কম্পিউটার
  • হোষ্টেলের কম্পিউটার সুবিধা নেই। তবে কারো যদি কম্পিউটার থাকে, সেক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার বাবদ মাসে অতিরিক্ত ২০০ টাকা করে দিতে হবে।

গার্লস হোস্টেল, ধানমন্ডি, ঢাকা


বাড়ী-৩৮/এ, সড়ক-৯/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা।
মোবাইল: ০১৭৫৫-৫০৩৬০৮

লোকেশন
সাত মসজিদ রোডে ইবেনে সিনা হাসপাতালের গলিতে এটি অবস্থিত। ভবনের চতূর্থ তলায় ৪০০০ বর্গফুট সমপরিমান জায়গা নিয়ে হোস্টেলটি পরিচালিত হয়।

সিট ভাড়া (৩ বেলা খাওয়া সুবিধা সহ)
  • খালি থাকার ভিত্তিতে সিট ভাড়া দেওয়া হয়।
  • হোষ্টেলের সিঙ্গেল সিটের ভাড়া ৬০০০ টাকা।
  • হোষ্টেলের ডাবল সিটের ভাড়া ৫০০০ টাকা।
  • ৩ জনের জন্য রুম ভাড়া জনপ্রতি ৩২৫০ টাকা।
  • ৪ জনের জন্য রুম ভাড়া জনপ্রতি ৩০৫০ টাকা।
  • সিট ভাড়ার পূর্বে অবশ্যই ৩০০০ টাকা সিকিউরিটি মানি হিসেবে দিতে হয়। সিট ছাড়ার পূর্বে ১০০০ টাকা ফেরত প্রদান করা হয়। অবশিষ্ট ২০০০ টাকা হোষ্টেলের ডাইনিং চার্জ এবং আসবাবপত্র ব্যবহার করার ফি হিসেবে কেটে রাখা হয়।
  • মাসের প্রারম্ভে ৫ তারিখের মধ্যে সিট ভাড়া পরিশোধ করতে হয়। বিলম্বে ২০ টাকা করে জরিমান দিতে হয়।
  • সিট ছাড়তে হলে কমপক্ষে ১ মাস পূর্বে হোষ্টেল সুপারকে জানাতে হবে।

আভ্যন্তরীন নিরাপত্তা
হোষ্টেল কর্তৃপক্ষ হোষ্টেলে অবস্থানরত ছাত্রীদের আভ্যন্তরীন নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। হোষ্টেল সংক্রান্ত বা আভ্যন্তরীন যে কোন বিষয়ে, যে কোন অভিযোগ থাকলে হোষ্টেল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে হয়।

বাহ্যিক নিরাপত্তা
হোষ্টেলে অবস্থানরত ছাত্রীদের বাহিরের নিরাপত্তার দায়-দায়িত্ব হোষ্টেল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নন।

সময়
হোষ্টেল থেকে যে যার নিয়ম মতো বের হতে পারবে। রাত ৯.০০ টার মধ্যে সবাইকে হোষ্টেলে ফিরতে হবে। তবে  হোষ্টেল ফিরতে কারো দেরী হলে অবশ্যই তাকে ফোনে অথবা  আগে হোষ্টেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিতে হবে।

হোষ্টেল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সচেতন অভিভাবকের দায়ত্ব পালন
হোষ্টেল কর্তৃপক্ষ হোষ্টেলে অবস্থানরত ছাত্রী বা কর্মজীবি মহিলাদের সচেতন অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আত্মীয় / দেশের বাড়ী বেড়াতে যাওয়া
দেশের বাড়ী বা কোন আত্মীয় এর বাসায় কয়েক দিনের জন্য বেড়াতে যাওয়ার প্রয়োজনে হোষ্টেল কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

টাকা পয়সা / গয়না রাখা
  • এখানে টাকা-পয়সা, গয়না রাখার কোন ব্যবস্থা নেই।
  • নিজ দায়িত্বে এসকল দামী জিনিষ রাখতে পারবে এবং মোবাইল ব্যবহার করতে পারবে।

টেলিভিশন
হোষ্টেল কর্তৃপক্ষের রুমে টেলিভিশন দেখার ব্যবস্থা রয়েছে।

কম্পিউটার
হোষ্টেলের কম্পিউটার সুবিধা নেই। তবে কারো যদি কম্পিউটার থাকে, সেক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবে। সেক্ষেত্রে ১০০ টাকা হারে মাসিক দিতে হবে। ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে।

যার সাথে যোগাযোগ করতে হবে
নাদিয়া, হোষ্টেল কর্তৃপক্ষ
০১৭৫৫৫০৩৬০৮

তরুলতা ছাত্রী নিবাস, মনিপুরীপাড়া, ফার্মগেট, ঢাকা


তরুলতা ছাত্রী নিবাস ২০১১ সালের মে থেকে যাত্রা শরু করে। ব্যক্তি মালিকানায় পরিচালিত এই ছাত্রী নিবাসে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং  চাকুরীজীবি মেয়েরা থাকতে পারে।

অবস্থান (লোকেশান) ও ঠিকানা
সংসদ ভবন থেকে পূর্ব দিকে ১৩ নং সেবা বুথ (মনিপুরী পাড়া কল্যাণ সমিতি) এর পাশে তরুলতা ছাত্রী নিবাস অবস্থিত। এটির হোল্ডিং ঠিকানা ৮৩/৪, ৮৩/ ৫, ১৩ মনিপুরীপাড়া, তেজগাঁও, ঢাকা – ১২১৫। ফোন নম্বর (কেয়ারটেকার) ০১৯১৬-২৬০৫২৯।

কক্ষ ব্যবস্থাপনা, থাকা ও খাবার ফি
এই হোষ্টেলে প্রত্যেক রুমে ৩ থেকে ৪ জন থাকতে পারে। এখানে কোন হল রুম নাই। এখানে থাকা ও খাওয়া বাবদ প্রতি মাসে খরচ হয় জনপ্রতি ৫,০০০ টাকা এবং শুধু থাকা বাবদ ৩,০০০ টাকা। এখানে পত্রিকা, বুয়া, সিকিউরিটি বাবদ আলাদা কোন টাকা দিতে হয় না। ভর্তির সময় ৮০৫০ টাকা পরিশোধ করতে হয়। এর মধ্যে ভর্তি ফর্ম ৫০ টাকা, ভর্তি ফি ৩০০০ টাকা এবং প্রথম মাসের খরচ (থাকা ও খাওয়া)     ৫০০০ টাকা।

সিট প্রাপ্তিতে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন
সিট প্রাপ্তির সময় শিক্ষার্থী (ছাত্রী) এর জন্য ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, অভিভাবকের ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং শিক্ষার্থী (ছাত্রী) ও অভিভাবকের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
তবে কর্মজীবী নারীদের ক্ষেত্রে নিজের ও অভিভাবকের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, অফিস কর্তৃক চাকুরীর প্রমাণপত্র এবং নিজের ২ কপি ও অভিভাবকের ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। ভর্তির সময় ভাই, বোন, বাবা, মা বা  স্বামীকে অবশ্যই উপস্থিত থাকেত হয়।

খাবার মেনু
এই হোষ্টেলে সকালের মেনুতে ভাত-আলুভর্তা-ডাল-খিচুরী-সবজি, দুপুরে দুপুরে  ভাত-মাছ-মাংস-শাক-ডাল এবং রাতে  ভাত-মাছ-ডিম-শাক-ডাল সরবরাহ করা হয়ে থাকে। তবে মাঝে মাঝে বিশেষ আয়োজনও থাকে। কেউ চাইলে ব্যক্তিগতভাবেও রান্না করতে পারবে।

ভাড়া পরিশোধ পদ্ধতি ও অন্যান্য
প্রতি মাসের ১-৫ তারিখের মধ্যে ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। কেহ যদি ১ মাসের জন্য বাড়ী চলে যায় তবে পুরো টাকাই পরিশোধ করতে হবে।  সিট বাতিলের জন্য কর্তৃপক্ষকে ১ মাস পূর্বে জানাতে হবে।

সঙ্গে যা আনতে হবে
হোষ্টেলে ওঠার সময় ছাত্রী/মহিলাদেরকে মশারী, লেপ, তোষক, থালা, বাটি সঙ্গে আনতে হয়। এছাড়া হোষ্টেল থেকে টেবিল, চেয়ার, খাটের ব্যবস্থা করা হয়। এর জন্য কোন প্রকার চার্জ দিতে হয় না।

সময় সূচী
এই হোষ্টেলে প্রবেশ ও বাইরে যাওয়ার জন্য সকাল ৭.০০ টা থেকে রাত ৮.০০ (ছাত্রীদের জন্য) এবং কর্মজীবীদের জন্য সর্বোচ্চ রাত ৯.০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

বিবিধ
টাকা, পয়সা, গহনা, মোবাইল নিজ দায়িত্বে রাখতে হয় অবশ্য এজন্য কোন লকারের ব্যবস্থা নেই। জিনিসপত্র হারিয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। এখানে টিভি, কম্পিউটার ব্যবহার করতে দেয়া হয় না।

আদিবাসী, ভূমি ও জীবন

আদিবাসীদের কাছে ভূমিই জীবন, ভূমিই অস্তিত্ব। আদিবাসীদের ভূমি অধিকার কিছু বলার আগে, সম্পদ, ভূমি, বন, প্রাণী জগত, ধরিত্রী ও অধিকার সম্পর্কে আদ...